করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। তাই সকলেই এখন গৃহবন্দী। তাতে তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের মানসিক চাপ। মহামারির এই সময়ে মানসিক শক্তি খুব জরুরি। লকডাউনের এই সময়টা হয়ে উঠতে পারে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর দারুণ একটা সুযোগ।
এই সময়েই আমরা বাড়ির সব কাজ নিজেরা ভাগ করে নিতে পারি। অনেকেই নিজেদের জামাকাপড় পরিষ্কার করার ব্যাপারে উদাসীন। পুরোপুরি নির্ভর ছিল অন্যের ওপর। বড় চাকরি করেন বলে ঘর ঝাড়ু দেওয়া বা মোছার কথা হয়তো এতদিন কারও কারও ভাবনাতেও আসেনি। লকডাউনের কারণে বাড়িতে থাকার একঘেয়েমি কাটাতে আর সময়কে কাজে লাগাতে এই কাজগুলো আমরা শিখে ফেলতে পারি। তাতে পরিবারের লোকজনের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা ও সহমর্মিতাও প্রকাশ করা যাবে।
সন্তান ও বাড়ির প্রবীণদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে ড্রয়িং রুমে টেলিভিশনের ভালো কোনো সিরিয়াল বা সিনেমা দেখতে পারি। কোনো ভালো বই নিয়েও তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। পুরনো দিনের গানগুলো শুনতে বা পুরনো সিনেমা দেখতে পারি।
এছাড়াও সন্তানরা ঠিকভাবে পড়াশোনা করছে নাকি ফাঁকি দিচ্ছে, নজর রাখতে পারি। এতদিন অফিসের ব্যস্ততার কারণে হয়তো অনেকেই তা খেয়ার রাখার সুযোগ পাননি। আবার কেউ কেউ তা প্রয়োজনও মনে করতেন না। এবার আমরা সে দিকে নজর দেওয়া শুরু করতে পারি। এটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হলে আরও ভালো হবে।
শুধুই পড়াশোনাই নয়, সন্তান ও বাড়ির প্রবীণদের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টা, গল্প-গুজব, আর আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে পারেন। এতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়। এবার গৃহবন্দী থেকে এটাকে অভ্যাসেও পরিণত করতে পারেন।
জীবনের ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় বাড়ির প্রবীণরা নিজেদের উপেক্ষিত মনে করেন। আমাদের কাছে তাদের গুরুত্ব বোঝানোর এটাই উপযুক্ত সময়।